Saturday, December 28, 2019
Tuesday, December 17, 2019
জীবনে রাগ করার মতো মানুষের
দরকার আছে৷
এতে ভালবাসার বহিঃপ্রকাশ ঘটে৷ ,রাগ তাদের সাথেই করা যায় যাদের
আমরা ভালবাসি৷
.
.
.
জানি তুমি আমাকে ভালবাস।
কিন্তু প্রকাশ করতে চাও না।
যদি হারিয়ে যাই এই ভয়ে।
.
.
কিন্তু একটা কথা কি তুমি জান?
তোমার এই অপ্রকাশিত ভালবাসা
প্রকাশ করার জন্য আমি কত চেষ্টা
করি?
কিন্তু না তবুও তুমি প্রকাশ কর না।
.
.
তোমার অবহেলা, তোমার রাগ,
তোমার জিদ আমাকে পুড়ে পুড়ছে
খায়।
একটু একটু করে ধংস্ব করে আমার আবেগ
আমার ফিলিংস গুলোকে।
আমি এটা বলছিনা যে আমি
তোমাকে ভালবাসিনা।
আমি এটা বলতে চাইছি যে আমি আর
তোমার অবহেলা সহ্য করতে পারছি
না।
এতোটা কষ্ট আমার এই ছোট্ট মনে
নিতে পারছি না।
.
.
কারন আমি আমার মনটা কষ্ট নেওয়ার
জন্য রাখি নি।
রেখেছি তোমাকে ভালবাসার জন্য।
কিন্তু তুমি আমার ভালবাসাকে বুঝলে
না।
আমি কখনোই বলতে চাইনি তুমি
আমাকে কষ্ট দাও।
কিন্তু কি করব বল?
.
.
একটা মানুষ আর কত নিতে পারে?
আমার এই ছোট্ট মন আর মস্তিস্ক আর
নিতে পারছে না।
চলে গেলাম।
আর কখনো আসব না।
কখনোই তোমাকে ফোনে বা
মেসেজে বলব না ভালবাসি।
যদি কখনো মন থেকে ভালবাসতে
পার
এই আমাকে তোমার করে নিতে পার।
মনের গহীন থেকে বলতে পার আমি
তোমার শুধুই তোমার।
তাহলেই ফিরে এস।
তোমার জন্য আমার মনের দরজা সবসময়ই
খোলা।
শেষবার একটি কথা বলব
"ভালোবাসি বড্ড বেশি
ভালোবাসি"
- ইতি
- তোমার পাগল
- #Ar
Tuesday, October 15, 2019
শুনলাম এখন নাকি তুমি নেশা করো,? আর নাকি খুব সিগারেট খাও?
হুম, ঠিকই শুনেছ!
ব্যাকআপ এর কয়েক মাস পর হঠাৎ গার্লফ্রেন্ড এর মেসেজ।
ব্যাকআপ এর কয়েক মাস পরে হঠাৎ মেয়েটি ছেলেটিকে এসএমএস করে ফেসবুকে আসতে বললো । এই এসএমএস টা দেখার পর মনে উৎপাত শুরু হয়ে গেলো ।তবে সে নিজেকে মানিয়ে নিয়ে ফেসবুকে গেলো ।
শুনলাম এখন নাকি তুমি নেশা করো,? আর নাকি খুব সিগারেট খাও?হুম, ঠিকই শুনেছ!
ব্যাকআপ এর কয়েক মাস পর হঠাৎ গার্লফ্রেন্ড এর মেসেজ।
ব্যাকআপ এর কয়েক মাস পরে হঠাৎ মেয়েটি ছেলেটিকে এসএমএস করে ফেসবুকে আসতে বললো । এই এসএমএস টা দেখার পর মনে উৎপাত শুরু হয়ে গেলো ।তবে সে নিজেকে মানিয়ে নিয়ে ফেসবুকে গেলো ।
তোমার একটা জিনিস লক্ষ্য করছি।
কি জিনিস ...?
আমি অনলাইনে আসলে তুমি অনলাইন থেকে চলে যাও ।কেন এমন করো?
তুমি অনলাইনে থাকো ;কিন্তু তোমাকে নক করতে পারিনা তোমার সাথে কথা বলতে পারি না। এইজন্য চলে যায়।
কে বারণ করছে তোমাকে কথা বলতে?
কেউ না,,?
তাহলে,?
আমার নিজের কি আত্মসম্মান নেই ?
আর যেখানে তুমি আমাকে ছাড়া ভালো আছো .!সেখানে আমি কেনই বা তোমাকে জ্বালাবো বলো ?
একটা কথা জিজ্ঞেস করি?
তোমাকে কোন কিছু জিজ্ঞেস করার অধিকার: টা আমি হারিয়েছি ।
কিন্তু আমাকে যেকোন কথা জিজ্ঞেস করার অধিকার টা তোমার এখনো ও আছে!
এখনো ভালবাসো আমাকে ?
কখনো বিশ্বাস না নিয়ে থাকতে পারবে?
না !সেটা কেউ পারবেনা।
আশাকরি তোমার উত্তরটা তুমি পেয়ে গেছো।
আমি তো তোমাকে ছেড়ে দিলাম।
তবুও কেন আমাকে এখনো ভালবাসো?
এর কোন উত্তর আমার জানা নেই!
না ভালবাসলে হয় না?
মরে যেতে বলছ আমাকে?
ক্ষমা করে দাও আমাকে!
তোমার উপরে তো কখনো রাগ করিনি।
তাহলে আবার কিসের ক্ষমা?
কষ্ট পাও না ;আমার জন্য?
কেন কষ্ট পাব ?
তুমি তো ভালোই আছো আর জানোই তো তুমি ভালো থাকলে আমি ভালো থাকি।
ইস; তুমি কি কখনো ভুলবে না আমায় কখনো কি অন্য কারো হবে না?
তুমিও এখানেই আসো আমিও এখানে আছি! এমনিতেই দেখতে পাবে। আচ্ছা বাদ দাও এসব।
জানো তুমি না অনেক ভাগ্যবতী!
কোনো ?
এখন যে ছেলেটা তোমাকে ভালোবাসে বা যাকে তুমি ভালোবাসো তার জীবনে তুমি প্রথম!
তুমি কিভাবে জানলে?
তা তুমি বুঝবেনা। আর জানোই তো কারো জীবনে প্রথম হওয়াটা খুব ভাগ্যে!
কিন্তু তুমিতো আমার জীবনে প্রথম ছিলে না ।তাই হয়তো আজ তুমি আর আমার জীবনে নেই।
কিন্তু তোমার তো ভালোবাসা সত্যি!
আরে না । সত্যি হলো কি আজ ......
আচ্ছা বাদ দাও এসব কথা!
শুনলাম মাঝেমধ্যে নাকি নেশা করো।
আর নাকি খুব সিগারেট খাও?
হুম ঠিকই শুনেছ !
কেন করো এসব?
কিছু না.....
জাস্ট নিজেকে দ্রুত শেষ করার একটা চেষ্টা মাত্র ।
বেঁচে থাকতে চাও না?
চাইতাম একসময় !
আজ থেকে তুমি এসব খাবে না।
আর আমি জানি তুমি আমার কথা শুনবে।
কেন করছো অন্য কারো সাথে;
আর ভালোবাসা দেখাচ্ছ আমাকে?
একথা বলতে পারলে?
তুমি আমাকে ছেড়ে গেছো আমি কিছু বলিনি।
কিন্তু তুমি যদি এখন আমার সাথে এভাবে কথা বলো তাহলে তো ওই ছেলেটার সাথে বেইমানি করা হবে।
যেটা আমার সাথে হয়েছে ।
আর আমি জানি এটার কষ্ট কি তাই আমি চাইনা আর কোন ছেলে আমার মত কষ্ট পাক।
ভেবেছিলাম কাঁদবো না।
কিন্তু তুমি কাঁদিয়ে দিলে তুমি!
ওই ছেলেটাকে ফোন করো ভালো লাগবে।
নতুন নতুন স্বপ্ন দেখবে !
যেভাবে তোমাকে নিয়ে দেখতাম সেভাবে?
না সেভাবে না।
তাহলে কিভাবে?
এমন ভাবে দেখো যেন স্বপ্নগুলো বাস্তবে রূপ পায়। আমার মত যেন অবাস্তব না রয়ে যায়।
ভালোই বললে!
হুম ...... সুখে থেকে!
চলে যাবে এখন?
হুম ....!
আর কিছুক্ষণ থাকো ।
ইচ্ছে করছে আর কিছুক্ষণ তোমার সাথে কথা বলতে ।
সবার তো সব ইচ্ছে পূরণ হয়না তাই না ?
আর আমার মেইন কথা হচ্ছে আমার আর এ বিষয় নিয়ে কথা বলতে ভালো লাগছেনা !
আচ্ছা!
ওকে বাই।
এই শেষ আর একটা রিকোয়েস্ট করব রাখবে?
হুম ...করো ...রাখার মত হলে অবশ্যই রাখবো।
তুমি এভাবে আর নিজেকে কষ্ট দিও না নিজেকে এভাবে শেষ করো না !
আমি নয়তো নিজেকে ক্ষমা করতে পারবোনা!
হয়তো এই কথাটা আমার পক্ষে রাখা সম্ভব হবে না!
কোনো ?
পরে কোন একদিন বলবো! আজ দেরি হয়ে গেলো !
কেনো? কি করবে?
ঘুম পাচ্ছে: ঘুমাবো!
ঠিক আছে! গুড নাইট!
হুম;... Good night! ভালো থেকো!
তুমিও!
এরপর সেই রাতে মেয়েটার বুকের মধ্যে চাপা এটা কষ্ট নিয়ে অঝোর ধরে কাঁদতে থাকে ।
আর ছেলেটার বাতাসে উড়তে থাকে ।
হয়তো এভাবে কিছু কিছু ভালোবাসা শেষ হয়েও যায় বেঁচে থাকে একে অপরের মাঝে.....! একটা জিনিস লক্ষ্য করছি।
কি জিনিস দিয়ে...?
আমি অনলাইনে আসলে তুমি অনলাইন থেকে চলে যাও ।কেন এমন করো?
তুমি অনলাইনে থাকো ;কিন্তু তোমাকে নক করতে পারিনা তোমার সাথে কথা বলতে পারি না। এইজন্য চলে যায়।
কে বারণ করছে তোমাকে কথা বলতে?কেউ না,,?
তাহলে,?
আমার নিজের কি আত্মসম্মান নেই ?
আর যেখানে তুমি আমাকে ছাড়া ভালো আছো .!সেখানে আমি কেনই বা তোমাকে জ্বালাবো বলো ?
একটা কথা জিজ্ঞেস করি?
তোমাকে কোন কিছু জিজ্ঞেস করার অধিকার: টা আমি হারিয়েছি ।
কিন্তু আমাকে যেকোন কথা জিজ্ঞেস করার অধিকার টা তোমার এখনো ও আছে!
এখনো ভালবাসো আমাকে ?
কখনো বিশ্বাস না নিয়ে থাকতে পারবে?
না !সেটা কেউ পারবেনা।
আশাকরি তোমার উত্তরটা তুমি পেয়ে গেছো।
আমি তো তোমাকে ছেড়ে দিলাম।
তবুও কেন আমাকে এখনো ভালবাসো?
এর কোন উত্তর আমার জানা নেই!
না ভালবাসলে হয় না?
মরে যেতে বলছ আমাকে?
ক্ষমা করে দাও আমাকে!
তোমার উপরে তো কখনো রাগ করিনি।
তাহলে আবার কিসের ক্ষমা?
কষ্ট পাও না ;আমার জন্য?
কেন কষ্ট পাব ?
তুমি তো ভালোই আছো আর জানোই তো তুমি ভালো থাকলে আমি ভালো থাকি।
ইস; তুমি কি কখনো ভুলবে না আমায় কখনো কি অন্য কারো হবে না?
তুমিও এখানেই আসো আমিও এখানে আছি! এমনিতেই দেখতে পাবে। আচ্ছা বাদ দাও এসব।
জানো তুমি না অনেক ভাগ্যবতী!
কোনো ?
এখন যে ছেলেটা তোমাকে ভালোবাসে বা যাকে তুমি ভালোবাসো তার জীবনে তুমি প্রথম!
তুমি কিভাবে জানলে?
তা তুমি বুঝবেনা। আর জানোই তো কারো জীবনে প্রথম হওয়াটা খুব ভাগ্যে!
কিন্তু তুমিতো আমার জীবনে প্রথম ছিলে না ।তাই হয়তো আজ তুমি আর আমার জীবনে নেই।
কিন্তু তোমার তো ভালোবাসা সত্যি!
আরে না । সত্যি হলো কি আজ ......
আচ্ছা বাদ দাও এসব কথা!
শুনলাম মাঝেমধ্যে নাকি নেশা করো।
আর নাকি খুব সিগারেট খাও?
হুম ঠিকই শুনেছ !
কেন করো এসব?
কিছু না.....
জাস্ট নিজেকে দ্রুত শেষ করার একটা চেষ্টা মাত্র ।
বেঁচে থাকতে চাও না?
চাইতাম একসময় !
আজ থেকে তুমি এসব খাবে না।
আর আমি জানি তুমি আমার কথা শুনবে।
কেন করছো অন্য কারো সাথে;
আর ভালোবাসা দেখাচ্ছ আমাকে?
একথা বলতে পারলে?
তুমি আমাকে ছেড়ে গেছো আমি কিছু বলিনি।
কিন্তু তুমি যদি এখন আমার সাথে এভাবে কথা বলো তাহলে তো ওই ছেলেটার সাথে বেইমানি করা হবে।
যেটা আমার সাথে হয়েছে ।
আর আমি জানি এটার কষ্ট কি তাই আমি চাইনা আর কোন ছেলে আমার মত কষ্ট পাক।
ভেবেছিলাম কাঁদবো না।
কিন্তু তুমি কাঁদিয়ে দিলে তুমি!
ওই ছেলেটাকে ফোন করো ভালো লাগবে।
নতুন নতুন স্বপ্ন দেখবে !
যেভাবে তোমাকে নিয়ে দেখতাম সেভাবে?
না সেভাবে না।
তাহলে কিভাবে?
এমন ভাবে দেখো যেন স্বপ্নগুলো বাস্তবে রূপ পায়। আমার মত যেন অবাস্তব না রয়ে যায়।
ভালোই বললে!
হুম ...... সুখে থেকে!
চলে যাবে এখন?
হুম ....!
আর কিছুক্ষণ থাকো ।
ইচ্ছে করছে আর কিছুক্ষণ তোমার সাথে কথা বলতে ।
সবার তো সব ইচ্ছে পূরণ হয়না তাই না ?
আর আমার মেইন কথা হচ্ছে আমার আর এ বিষয় নিয়ে কথা বলতে ভালো লাগছেনা !
আচ্ছা!
ওকে বাই।
এই শেষ আর একটা রিকোয়েস্ট করব রাখবে?
হুম ...করো ...রাখার মত হলে অবশ্যই রাখবো।
তুমি এভাবে আর নিজেকে কষ্ট দিও না নিজেকে এভাবে শেষ করো না !
আমি নয়তো নিজেকে ক্ষমা করতে পারবোনা!
হয়তো এই কথাটা আমার পক্ষে রাখা সম্ভব হবে না!
কোনো ?
পরে কোন একদিন বলবো! আজ দেরি হয়ে গেলো !
কেনো? কি করবে?
ঘুম পাচ্ছে: ঘুমাবো!
ঠিক আছে! গুড নাইট!
হুম;... Good night! ভালো থেকো!
তুমিও!
এরপর সেই রাতে মেয়েটার বুকের মধ্যে চাপা এটা কষ্ট নিয়ে অঝোর ধরে কাঁদতে থাকে ।
আর ছেলেটার বাতাসে উড়তে থাকে ।
হয়তো এভাবে কিছু কিছু ভালোবাসা শেষ হয়েও যায় বেঁচে থাকে একে অপরের মাঝে.....!
Saturday, September 21, 2019
একটি ছেলের জীবন কাহিনী
একটি ছেলের জীবন কাহিনী
💌💌💌💌এলাকার যে ছেলেটি কখনো খারাপ কাজ বা নেশা করে নি,
আজকে সে এখন নাম কড়া নেশাখোর আর খারাপ কাজে লিপ্ত।
যে ছেলেটি সিগারেটে থাকা নিকোটিনের ধোঁয়া সহ্য
করতে পারতো না,
আজ সে সেই নিকোটিন তার চলার পথের সঙ্গী।
সে এখন প্রতি রাতেই ছাদের কোণে গিয়ে নিকোটিনের
আগুনে নিজেকে পুড়তে বসে।
যে ছেলেটি কলেজ, বন্ধুদের সাথে আড্ডা মেরে
সবাইকে মাতিয়ে রাখতো, আজ সে একদম চুপ।
কারো সাথে কোনো কথা বলে না সব সময় একা থাকে।
যে ছেলে অন্ধকার কে এবং কালো জিনিস অপছন্দ করতো,
আজ সে শপিং এ গেলে সবথেকে আগে কালো রঙটাকে
চয়েজ করে আর প্রায় সময়টাই অন্ধকারের মধ্যে থাকতে চায়।
সমাজের ছোট বড় প্রত্যেকেই ভাবে হয়তো খারাপ সঙ্গ
পেয়েই ভালো ছেলেটি খারাপ হয়েছে।
এভাবেই আমাদের সামনে ঘটে যাওয়া কর্মকাণ্ড গুলোর
প্রতিক্রিয়া জানাই।
প্রতিক্রিয়া গুলো হয় সাধারনত এরকমঃ-
.
★ ছেলেটা ভালো ছিল, কিন্তু এখন রোজ সিগারেট খায়।
★ ছেলেটা একদম নষ্ট হয়ে গেছে, রোজ মারপিট আর
নেশা করে।
★ এই ছেলে ছোট থেকে অনেক সম্মান করতো, কিন্তু
এখন সামনে বসে সিগারেট ধরায়।
★ ছেলেটা খারাপ হবে কখনোই ভাবি নি।…. ইত্যাদি।
.
আমরা ভেবে থাকি এসব ছেলেগুলো এভাবে নষ্ট হওয়া আর
বিগড়ে যাওয়ার
পিছনে খারাপ সঙ্গ সাথি একমাত্র দায়ী।
কিন্তু কখনো কি জানতে চেয়েছি বা চেয়েছেন তাদের এই
খারাপ হওয়ার
পিছনের কারনটা। কিসের জন্য তারা এ পথে এসেছে…??
.
একটা ছেলে শুধু খারাপ সঙ্গ পেয়ে নেশার জগতে পা দেয় না।
এর পিছনে জড়িয়ে থাকে পারিবারিক সমস্যা না হয় কাছের মানুষের
দেয়া কষ্ট আর অবহেলা।
আমাদের সমাজের প্রায় অর্ধেকের বেশি ছেলেরা নেশায়
আসক্ত হয় প্রেম বিচ্ছেদে। আর অল্প কিছু ছেলেরা হয়
পারিবারিক কারনে।
তখন এরা বেঁচে থাকার জন্য এবং পুরাতন স্মৃতি গুলো মুছে
ফেলার জন্য নেশার জগতে পা দেয়।
.
আচ্ছা কতটা কষ্ট পেয়ে একটা ছেলে তার চোখের জল
ফেলে…!!
হ্যাঁ, আপনাকেই জিজ্ঞাসা করছি যিনি বা যে এই গল্পটাকে পড়ছেন।
আমার জানা মতে, একটা ছেলেকে কখনো আপনি সামনে
বসে তেমন একটা কান্না করতে দেখবেন না।
কারন সে জানে সবার সামনে বসে কান্না করতে দেখলে
তাকে নিয়ে হাসি-ঠাট্টা, তামাশা করবে।
.
তাই সে নিরবে তার কষ্টটাকে বুকের মধ্যে লুকিয়ে রাখে।
কারন ওখানে লুকিয়ে রাখলে কেউ দেখতে পাবে না, একমাত্র
স্রষ্টা আর নিজে ছাড়া।
রাতে অন্ধকারে ঘরের কোনো এক কোণে বসে বা বিছানায়
শুয়ে নিঃশব্দে দু’চোখের জল ফেলে কেঁদে যাবে।
চিৎকার দিয়েও সে তখন কাঁদতে পারে না, যদি তার বারির কেউ
কান্নার শব্দ শুনে যায়।
বারির যে ছেলেটি খুব হাসি খুঁশি থাকতো, প্রাইভেট বা আড্ডা
দিয়ে সবাইকে
মাতিয়ে রাখতে পারতো। আজ হয়তো তার ভালোবাসার মানুষের
কাছ থেকে অবহেলা পেতে পেতে সে দিনদিন এতো
বদলে গেছে বা যাচ্ছে।
.
আগের মত আর কারো সাথে মিশে না, মন মরা আর সবসময় একা
থাকতে চায়।
কারন, সে জানে বন্ধুদের সাথে চলতে হলে তাকে হাসি-খুঁশি
থাকতে হবে।
যদিও ক্ষেত্রবিশেষ চলতে হয় তখন তাকে মিথ্যের আশ্রয়
নিয়ে জীবন কাটাতে হয়।
.
যখন একটা ছেলের জীবনে কোনো মেয়ে আসে,
তখন তাকে নিয়েই জীবনটাকে রঙ্গিন করতে চায়।
কিন্তু হঠাৎ করে সেই রঙ্গিন কে কালো করে দিয়ে অন্য
ছেলের হাত ধরে চলে যায়, তখন শুধু অবাক হয়ে তাকিয়ে
থাকতে হয়।
সে ভাবতে থাকে এই কি সেই মেয়ে যে কোনো একসময়
আমায় নিয়ে ভালোবাসার স্বপ্ন বুনতো।
.
আপনি যদি একটা ছেলের একদম কাছের বা ভালোবাসার মানুষ
হয়ে তাকে কষ্ট দিতে চান বা তাকে কাঁদাতে চান।
তাহলে তাকে কোনো ভরা জনসম্মুখে এনে চড় মারুন, তাকে
বেশি করে গালাগালি করুন বা তাকে অপমান করুন।
দেখবেন নিরবে কোনো প্রতিবাদ না করে আপনার সামনে
থেকে মাথা নিচু করে চলে যাবে তবুও কাঁদবে না।
.
কিন্তু তাকে সামান্য পরিমান অবহেলা করুন, তার সাথে একটু কথা বলা
কমিয়ে দিন,
খোঁজ-খবর নেয়া কিছুদিনের জন্য বাদ দিয়ে দিন বা তার সাথে কম
যোগাযোগ করুন।
তাহলে দেখবেন কিছুদিনের মধ্যে তার চোখের নিচটা কালো
হয়ে গেছে আর আগের থেকে অনেকটা শুকিয়েও
গেছে।
কারন সারারাত কেঁদে নির্ঘুমে কাটানো রাত আর ঠিকভাবে নিয়মিত না
খাওয়ার ফলে এ অবস্থা তার।
.
ছেলেরা অনেক কিছু সহ্য করতে পারে, কিন্তু কাছের
মানুষদের অবহেলা সহ্য করতে পারে না।
একটা ছেলের সাজানো জীবনকে এলোমেলো করে
দিতে তার ভালোবাসার মানুষের অল্প অবহেলাই যথেষ্ট।
.
ছাদে বসে নীল আকাশকে দেখতে থাকা ছেলেটিও
কোনো একসময় রাতের আধারে ছাদের কোনো এক
কোণে বসে তারা গুনে,
আর নিজের বুকটাকে একের পর এক সিগারেটের ধোঁয়ায়
পুড়তে থাকে।
.
বাড়ির ছেলের কোনো একসময় পছন্দ ছিলো নীল আর
লাল।
কিন্তু এখন তার পছন্দের রঙ বদলে গিয়েছে। সে এখন আর
নীল আর লাল রঙের কিছু পড়ে না।
কারন ওটা ছিল তার পুরনো ভালোবাসার মানুষেরও পছন্দ।
তাই আজ এসব বাদ দিয়ে তার একমাত্র পছন্দ রঙ হল কালো।
.
একটা ছেলে যে কখনো অন্ধকারে থাকতে পারতো না।
সবসময় বন্ধুদের সাথে বাইরে ঘোরাঘুরি করতো।
কিন্তু সময়ের পরিবর্তনে সে এখন অন্ধকারকে নিজের আপন
করে নিয়েছে।
সে এখন দিনের বেশির ভাগ সময়টাও অন্ধকার রুমেই কাটিয়ে
দেয়, তবুও বাইরে বের হয় না।
.
একটা ছেলে কখনোই চায় না খারাপ হতে, কিন্তু আমাদের সমাজ,
পরিবেশ আর পরিস্থিতি তাকে খারাপের দিকে টেনে নিয়ে যায়।
দশটা খারাপ ছেলের সাথে চলতে গিয়ে একটা ভালো
ছেলেও কোনো একসময় খারাপ হয়ে যায়।
আর দশটা ভালো ছেলের সাথে একটা খারাপ ছেলে চললে
একসময় নেশা করা ছেড়ে দিয়ে সে ভালো হয়ে যায়।
.
সবশেষে সেই সকল কাছের বা ভালোবাসার মানুষদের একটা
কথাই বলবো যে, কোনো ছেলেকে ভালোবাসলে
তাকে মন দিয়ে ভালোবাসবেন।
কোনো প্রকার ছলনা বা মিথ্যের আশ্রয় না নিয়ে ভালোবাসুন
দেখবেন সে আগের থেকে আরো দ্রুত ভালো কিছু করার
জন্য এগিয়ে যাবে।
.
আর তাকে যদি আপনি নাই ভালোবাসেন তাহলে দয়া করে তার
সাজানো সুন্দর ভবিষ্যতটাকে নষ্ট করে দিবেন না।
কারন আপনার একটু একটু করে দেয়া অবহেলা আর কষ্ট একটা
ছেলের স্বপ্ন গুলো মাটিতে মিশিয়ে দিতে পারে যে
কোনো মুহূর্তে।
.
একটা ছেলে খারাপ হলে তার পরিবারের সদস্যরা বিশেষ করে মা
আর বাবা বড্ড অসহায় হয়ে পড়ে।
তখন সমাজে তাদের মুখ দেখাতে কতটুকু কষ্ট পেতে হয় তা
হয়তো আপনি অথবা আমি জানি না আর বুজতেও পারি না।
কোনো একসময় পরে যখন আপনি আর আমি কোনো
সন্তানের মা বাবা হব তখন এর উপলব্ধি করতে পারবো।
Saturday, September 7, 2019
অনেক মিস করছি তোমায়
আজি এমনো ঘন বৃষ্টি স্নাত দিনে
তোমাকে খুব বেশি মনে পড়ছে। তুমি পাশে থাকলে তোমার
ভালবাসা পাশে থাকলে হয়ত আজকের দিনটা অনেক উপভোগ
করতে পারতাম।কিন্তু আজ তুমি পাশে নেই বলে বৃষ্টির প্রতিটা
ফোটা যেন আমার চোখের কান্না হয়ে নামছে।খুব বেশি
জানতে ইচ্ছা করছে যে তোমার কি আমাকে একটা বার মনে
পড়ছে না ? অথবা এই বৃষ্টি স্নাত দিনে তুমি কি ভাবছ কিই বা করছ ?
তোমার মিষ্টি মুখখানা যে খুব বেশি মনে পড়ছে আর আমার
চোখের সামনে ভেসে উঠছে।
তোমার কি মনে পড়ে বৃষ্টি স্নাত এমন দিনগুলোতে তুমি
বৃষ্টিতে ভেজার কত আকুতি করতে আর আমি তোমাকে
শাসনের ভাষায় অনেক কঠোর কন্ঠে বারন করতাম যে তুমি
ভিজবে না তোমার ঠান্ডা লাগবে। কখন ও বা আমার ভয়ে তোমার
সেই প্রচন্ড ইচ্ছাটাকে দমন করে ডানা ভাঙ্গা পাখির মত বাসায় বসে
থাকতে আবার কখন ও আমাকে না জানিয়ে বৃষ্টিতে ভিজতে যা
আমি রাতে তোমার কথা শুনেই বুঝতাম। তখন তোমার অনেক
সহজ সরল স্বীকারোক্তি আর অপরাধবোধ তোমার প্রতি
আমার টান ও ভালবাসা আর ও বাড়িয়ে দিত যা তোমাকে কখন ও
বুঝতে দিতাম না। ভয় কাজ করত যদি তা বুঝতে দেই তাহলে বারবার
করবা .........
বৃষ্টি স্নাত এমন দিনগুলোতে যখনি আমার অফিসে যাওয়ার সময় হত
বারবার শুনতে হত কি ছাতা নিচ্ছতো ? একদম ভিজবা না।আজ কি না
গেলে হয় না? ঠিক একিভাবে ফেরার সময় বলতে বৃষ্টি না কমলে
বের হবা না প্লীজ।বাসায় এসে ভালভাবে পানি দিয়ে মাথা ধুবে না
হলে শরীল খারাপ করবে।আমি কথাগুলো গুরুত্ব না দিলে বারবার
বলতে হত প্রমিজ প্রমিজ প্রমিজ তুমি যা বলছ আমি তাই করব........
আজ তুমি আমার পাশে নেই।সকাল থেকে অনেক বৃষ্টি হচ্ছে।
কিন্তু এখন আর কেউতো ঐরকম করে ...............
‘মিস ইউ সো মাচ’
x
Saturday, August 31, 2019
জীবনের প্রথম প্রেম ভুলেতে পারে না
- জীবনের প্রথম প্রেম ভুলতে পারেনা
একজনকে বলতে শুনেছিলাম যে, জীবনের প্রথম
প্রেম অনেকটা বিশ্বকাপ ফাইনাল এর মত। হার-জিত সারা
জীবন মনে থাকবে! আবার আমার মনে হয়, প্রথম
প্রেম বলতে আসলে বোঝায় জীবনে প্রথম
প্রেমের শিহরণ অনুভব করা নাকি কোনো বিশেষ
ব্যক্তির প্রতি সৃষ্ট মোহ বা আবেগ। আসলে মস্তিষ্কে
প্রথম প্রেমের ছাপটি এত গভীরভাবে স্থান করে
নেয় যে সে ছাপ উঠানো প্রায় অসম্ভব। তবে নতুন
কেউ যদি আবার জীবনে আসে এবং সে যদি প্রথম
মানুষটির চেয়ে ভালো মনের বা ভাল ব্যক্তিতের
অধিকারী হয় তবে একদিন না একদিন পুরোনো প্রেম
ঠিকই হারিয়ে যায়, তার অনুপস্থিতি কষ্ট দেয় না ঠিকই কিন্তু
মস্তিষ্ক থেকে তাকে পুরোপুরি কোনদিনই দূর করা
সম্ভব নয়। এটাই ন্যাচারাল। একটা সময় গিয়ে হয়তো তার
সাথে অতিবাহিত স্মৃতিগুলো আবছা হয়ে যাই ঠিকই, তবুও
মনে রয়ে যায় তাকে। এটা দোষের কিছু না। বরং এটাই
বাস্তব ! হয়তো ওই বাস্তবতা আপনার বোকামি ছিল বা ওই
বাস্তবের কারণে আপনাকে নিদারুন কষ্ট পেতে
হয়েছে, তবে সেটা মনে থাকবেই। হয়তো ভেবে
হাসি পাবে আবার হয়তো কান্না ! যেটাই হোক, সেটা
অতীত আর মনে রাখবেন যে, অতীতের দিকে
কখনো ফিরে তাকাতে নেই কিন্তু অতীত থেকেই
আমাদের শিক্ষা নিতে হয়, অতীত থেকেই অভিজ্ঞতার
সঞ্চার হয়ে থাকে।
অনেকেরই কল্পনাবিলাস থাকে প্রথম দেখায় প্রেমে
পড়া নিয়ে। অনেকেই ভাবেন সত্যিকারের প্রেমে
মনে হয় এমনটাই ঘটে! এমন ঘটাটাই যেন মনে হয়
জীবনের সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি! প্রথম প্রেমের কথা
কেউ কি কখনো ভুলতে পারে ! ছোট্ট প্রশ্ন—কিন্তু
উত্তর অনেক কঠিন। প্রথমবারের ঘটনাটি যেভাবে মনে
গেঁথে যায়, আর দশবার লাফ দিলেও সেই আগের
স্মৃতিটাই বেশি নাড়া দিয়ে যায়। প্রথম প্রেমের রেশ
থেকে যায় অনেক দিন। একটা তাড়না, তিক্ত-মধুর এক
অনুভূতি মনকে আচ্ছন্ন করে রাখে। অনেকের মনে
অতীত স্মৃতি তাড়িয়ে বেড়ায়। স্মৃতি রোমন্থনে
অনেকে আবেগী হয়ে ওঠেন। কারণ এতে
প্রত্যাখ্যাত হওয়া, আশা পূরণ করতে না পারার, আশা পূরণ না
হওয়ার ভয় থেকে যায়। প্রথম প্রেমের ক্ষেত্রে
উদ্বেগ সবচেয়ে বড় বিষয় হয়ে দাঁড়ায়।জীবনের
কোনো কিছুই ভুলে যাওয়া জীবনের জন্য ভালো কিছু
বয়ে আনেনা আর জানেনতো নস্টালজিক দের
স্মৃতিভ্রম অন্যদের তুলনায় কম হয় । যারা প্রেমের
মাধ্যমে ভালবাসা পেয়েছেন, তারা ভাবেন প্রেম মধুর,
সর্বশ্রেষ্ঠ, সবচেয়ে দামী সম্পদ, বেঁচে থাকার গান,
স্বপ্ন, সমৃদ্ধি, সচেতনতা, সম্প্রীতি, সমঝোতা, একাগ্রতা,
নিষ্ঠা, সত্যবাদিতা আর অকৃতিম ভালবাসার একমাত
Thursday, August 29, 2019
তোকে খুব মিস করছি
তোকে খুব মিস করছি ।
কতটা কষ্টে আছি । সারাদিনে তুই শতশত মানুষের
সাথে হাজার ধরনের কথা বলিস । কিন্তু আমার জন্য
তোর কাছে একটা কথাও নেই । বিশ্বাস কর, তোর
সেই একটা কথা যেটা কেউ আমাকে কোনদিন
বলেনি, সেটা তোর কাছ থেকে শোনার জন্য
কতটা অপেক্ষা করে আছি, সেটা তুই বুঝবিনা । তবে
যেদিন জানলাম, আমাকে বলার মতো তোর কাছে
কোন কথাই নেই, সেদিন থেকে অপেক্ষার
করব? ভালবাসাতো ফেরত নেওয়া যায়না, তাইনা? হয়ত
মনোযোগ অন্যত্র সরানো যায়, কিংবা অন্য কারো
কাছে সুখ খুঁজে নেওয়া যায়, হয়ত আর একা লাগেনা ।
কিন্তু এটা তো ঠিক যে কেউ কারো বিকল্প হতে
পারেনা ?
ধর, পৃথিবীর এক প্রান্তে একটি ছেলে অন্য
প্রান্তে একটি মেয়েকে রাখা হলো । যখন
ছেলেটি বা মেয়েটি ভাববে যে, আমরা হয়তো
অনেক দুরে আছি কিন্তু একটাতো সত্যি যে
আমাদের মাঝে আর অন্য কেউ নেই? তখন দুরত্ব
তাদের কাছে কিছুই মনে হবেনা, শুধু ভালবাসা আর
ফেরার অপেক্ষা নিয়েই বাকীটা জীবন কাটিয়ে
দিতে পারবেন অনায়াসে । আর এভাবেই তোমার
আমার মতো হাজার হাজার মানুষ অপেক্ষা করে
বেঁচে আছে, থাকতে হয় ।
ভুলে যেও, জানি যাবেও, কিন্তু উপেক্ষা করনা ।
বুঝতে বাধ্য করোনা যে, আমাকে তোমার কিছুই
বলার নেই । অন্তত এতটুকু বুঝতে দাও যে, “আমাকে
তোমার অনেক কিছু বলার আছে !” আর সেটা
শোনার অপেক্ষা নিয়েই বাকিটা জীবন কাটিয়ে
দেবো । কারণ হতাশার চেয়ে অপেক্ষা অনেক
ভাল ।
জানি ঠিকানা খুঁজে নিয়েছো । কিন্তু তুমিতো জানো
আমি তোমাকে কতটা ভালবাসি । আর আমিও দেখেছি
ভালবাসা আর ভালবাসার মানুষটিকে টিকিয়ে রাখতে কত
অপমান, উপেক্ষা, কষ্ট সহ্য করতে হয় । তাই আমি চাইনা
আমার ভালবাসার মানুষটি কোন এক শ্রাবন রাতে বৃষ্টিতে
ভীঁজে ভীঁজে অন্য কারো কাছে ভালবাসা ভিক্ষা
করুক । সে কষ্ট সহ্য করতে পারবনা । তাই ভাল না
বাসো, অন্তত ভালবাসার অভিনয়টুকু করো । একি বিছানা
শেয়ার করতে না পারি, একই ছাদতো শেয়ার করতে
পারি ! একি রিক্সা শেয়ার করতে না পরি, বাস’তো পারি ।
জানি তুমি বড্ড অভিমানী, নিজের অভিমান আর
জেদকে বজায় রাখার জন্য নিজেকে অপাত্রে দান
করছো, কিন্তু পারবে কি? ভালবাসাতো নির্দিষ্ট ।
প্রত্যেক মানুষের জন্য আলাদা আলাদা । একজনের
ভালবাসা কেড়ে নিয়ে অন্যজনের জন্য ভালবাসা প্রমান
করা যায়না । চাইলেও সেটা সম্ভব নয় । কারণ ভালবাসা
ফেরত নেওয়া যায়না ।
তোমার দিনগুলো শুভ হোক । তুমি রাখবেনা জানি ।
কিন্তু আমিই প্রতিনিয়ত তোমার খরব রাখবো, রাখছিও ।
লেখক: এরশাদ
তুই হয়ত বুঝবিনা আর কোনদিন দেখতেও পাবিনা, আমিকতটা কষ্টে আছি । সারাদিনে তুই শতশত মানুষের
সাথে হাজার ধরনের কথা বলিস । কিন্তু আমার জন্য
তোর কাছে একটা কথাও নেই । বিশ্বাস কর, তোর
সেই একটা কথা যেটা কেউ আমাকে কোনদিন
বলেনি, সেটা তোর কাছ থেকে শোনার জন্য
কতটা অপেক্ষা করে আছি, সেটা তুই বুঝবিনা । তবে
যেদিন জানলাম, আমাকে বলার মতো তোর কাছে
কোন কথাই নেই, সেদিন থেকে অপেক্ষার
- সময়গুলো কষ্টের সময়ে পরিনত হচ্ছে । কিন্তু কি
করব? ভালবাসাতো ফেরত নেওয়া যায়না, তাইনা? হয়ত
মনোযোগ অন্যত্র সরানো যায়, কিংবা অন্য কারো
কাছে সুখ খুঁজে নেওয়া যায়, হয়ত আর একা লাগেনা ।
কিন্তু এটা তো ঠিক যে কেউ কারো বিকল্প হতে
পারেনা ?
ধর, পৃথিবীর এক প্রান্তে একটি ছেলে অন্য
প্রান্তে একটি মেয়েকে রাখা হলো । যখন
ছেলেটি বা মেয়েটি ভাববে যে, আমরা হয়তো
অনেক দুরে আছি কিন্তু একটাতো সত্যি যে
আমাদের মাঝে আর অন্য কেউ নেই? তখন দুরত্ব
তাদের কাছে কিছুই মনে হবেনা, শুধু ভালবাসা আর
ফেরার অপেক্ষা নিয়েই বাকীটা জীবন কাটিয়ে
দিতে পারবেন অনায়াসে । আর এভাবেই তোমার
আমার মতো হাজার হাজার মানুষ অপেক্ষা করে
বেঁচে আছে, থাকতে হয় ।
ভুলে যেও, জানি যাবেও, কিন্তু উপেক্ষা করনা ।
বুঝতে বাধ্য করোনা যে, আমাকে তোমার কিছুই
বলার নেই । অন্তত এতটুকু বুঝতে দাও যে, “আমাকে
তোমার অনেক কিছু বলার আছে !” আর সেটা
শোনার অপেক্ষা নিয়েই বাকিটা জীবন কাটিয়ে
দেবো । কারণ হতাশার চেয়ে অপেক্ষা অনেক
ভাল ।
জানি ঠিকানা খুঁজে নিয়েছো । কিন্তু তুমিতো জানো
আমি তোমাকে কতটা ভালবাসি । আর আমিও দেখেছি
ভালবাসা আর ভালবাসার মানুষটিকে টিকিয়ে রাখতে কত
অপমান, উপেক্ষা, কষ্ট সহ্য করতে হয় । তাই আমি চাইনা
আমার ভালবাসার মানুষটি কোন এক শ্রাবন রাতে বৃষ্টিতে
ভীঁজে ভীঁজে অন্য কারো কাছে ভালবাসা ভিক্ষা
করুক । সে কষ্ট সহ্য করতে পারবনা । তাই ভাল না
বাসো, অন্তত ভালবাসার অভিনয়টুকু করো । একি বিছানা
শেয়ার করতে না পারি, একই ছাদতো শেয়ার করতে
পারি ! একি রিক্সা শেয়ার করতে না পরি, বাস’তো পারি ।
জানি তুমি বড্ড অভিমানী, নিজের অভিমান আর
জেদকে বজায় রাখার জন্য নিজেকে অপাত্রে দান
করছো, কিন্তু পারবে কি? ভালবাসাতো নির্দিষ্ট ।
প্রত্যেক মানুষের জন্য আলাদা আলাদা । একজনের
ভালবাসা কেড়ে নিয়ে অন্যজনের জন্য ভালবাসা প্রমান
করা যায়না । চাইলেও সেটা সম্ভব নয় । কারণ ভালবাসা
ফেরত নেওয়া যায়না ।
তোমার দিনগুলো শুভ হোক । তুমি রাখবেনা জানি ।
কিন্তু আমিই প্রতিনিয়ত তোমার খরব রাখবো, রাখছিও ।
Wednesday, August 7, 2019
আজকে তোমার জন্মদিন।। গতবছর
বলেছিলো আজকের এই
দিনে সে সুন্দর
একটা শাড়ি পড়বে।। চুল
বেধেঁ চোখে কাজল
দিবে।। হাত ভর্তি লাল-
নীল কাঁচের চুড়ি।।
শাড়ি পরে ও আমার
সামনে আসবে।। চুড়িঁর
শব্দ শুনবো, আর
ওকে বলবো তোমাকে ভারি সুন্দর
লাগছে।।
আজকে ওর
জন্যে একটা নীল রংয়ের
শাড়ি এনেছি,আর লাল
নীল কাচেঁর
চুড়ি,সামান্য একটু
কাজল।।ও এসব
দেখে নীরবে শুধু
হেসেছে।।
ছুয়েঁও দেখে নি,ও কেবলই
বলে আমাকে, শুনো আমি দেখতে খুব
খারাপ হয়ে গেছি।।
সাজলে পেত্নীর মতন
লাগবে,
প্লিজ একটু, একবারের
জন্য সাজো না।।
না।।
কেন?
যে মেয়ে দুদিন পর
মারা যাবে,তার
সাজলে চলে!
তমা সেজেছে,হাতে লাল নীল
চুড়িঁ, চোখে কাজল, খোলা চুল।।
হাসি হাসি মুখে তাকিয়ে আছে।।
আর বলছে,
বাবু চায়ে চিনি ঠিকমত
হয়েছে তো??
আজকাল জীবনটা কেমন
যেন বিরষ হয়ে গেছে।।
অসুস্থ হলেও কেউ
কপালে হাত
দিয়ে দেখে বলে না, বাবু
তুমি বলো নাই কেন
যে তোমার জ্বর আসছে?
কেউ আর
বৃষ্টিতে ভিজতে বারণ
করে না।।
কেউ আর শাসন
করে না রাতে দেরি করে বাসায়
ফিরলে।।
এখন আর চোখ বন্ধ
করলে তমার
ছবি দেখতে পাই না, খুব চেষ্টা করেও পারি না।।
আগের মত মনেও
পড়ে না।।
মাঝে মাঝে নিজেকে খুব
ছোট মনে হয় এই
ভেবে যেই
তমাকে এতোটা ভালোবাসি, তাকে এতো তাড়াতাড়ি ভুলে
গেলাম, কি করে?
আমি বৃষ্টিতে ভিজতে চাই নি,
তুমি জোর করে আমায় নিয়ে ভিজতে চাইতে।।
বৃষ্টির জল ছোঁয়া মাথায় লাগলে
যার হাড় কাপাঁনো জ্বর চলে আসতো সেই আমাকে নিয়ে
বৃষ্টিতে ভিজতে চাইতে।।
জ্বরের ঘোরে যখন শুয়ে থাকতাম,
ভাবতাম এই বুঝি তুমি আসবে,
আমার পাশে বসবে।। তুমি আসো নি।।
আকাশে এখনো জোছনা হয়, তারা ভরা আকাশ
ও দেখা যায়, কেবল
শুনতে পাই না তমার
সেই লাজুক হাসির শব্দ।।
জানি ফিরে তুমি আসবে না কখনো...
লিখেছেনঃ MD Arshadul Haque
বলেছিলো আজকের এই
দিনে সে সুন্দর
একটা শাড়ি পড়বে।। চুল
বেধেঁ চোখে কাজল
দিবে।। হাত ভর্তি লাল-
নীল কাঁচের চুড়ি।।
শাড়ি পরে ও আমার
সামনে আসবে।। চুড়িঁর
শব্দ শুনবো, আর
ওকে বলবো তোমাকে ভারি সুন্দর
লাগছে।।
আজকে ওর
জন্যে একটা নীল রংয়ের
শাড়ি এনেছি,আর লাল
নীল কাচেঁর
চুড়ি,সামান্য একটু
কাজল।।ও এসব
দেখে নীরবে শুধু
হেসেছে।।
ছুয়েঁও দেখে নি,ও কেবলই
বলে আমাকে, শুনো আমি দেখতে খুব
খারাপ হয়ে গেছি।।
সাজলে পেত্নীর মতন
লাগবে,
প্লিজ একটু, একবারের
জন্য সাজো না।।
না।।
কেন?
যে মেয়ে দুদিন পর
মারা যাবে,তার
সাজলে চলে!
তমা সেজেছে,হাতে লাল নীল
চুড়িঁ, চোখে কাজল, খোলা চুল।।
হাসি হাসি মুখে তাকিয়ে আছে।।
আর বলছে,
বাবু চায়ে চিনি ঠিকমত
হয়েছে তো??
আজকাল জীবনটা কেমন
যেন বিরষ হয়ে গেছে।।
অসুস্থ হলেও কেউ
কপালে হাত
দিয়ে দেখে বলে না, বাবু
তুমি বলো নাই কেন
যে তোমার জ্বর আসছে?
কেউ আর
বৃষ্টিতে ভিজতে বারণ
করে না।।
কেউ আর শাসন
করে না রাতে দেরি করে বাসায়
ফিরলে।।
এখন আর চোখ বন্ধ
করলে তমার
ছবি দেখতে পাই না, খুব চেষ্টা করেও পারি না।।
আগের মত মনেও
পড়ে না।।
মাঝে মাঝে নিজেকে খুব
ছোট মনে হয় এই
ভেবে যেই
তমাকে এতোটা ভালোবাসি, তাকে এতো তাড়াতাড়ি ভুলে
গেলাম, কি করে?
আমি বৃষ্টিতে ভিজতে চাই নি,
তুমি জোর করে আমায় নিয়ে ভিজতে চাইতে।।
বৃষ্টির জল ছোঁয়া মাথায় লাগলে
যার হাড় কাপাঁনো জ্বর চলে আসতো সেই আমাকে নিয়ে
বৃষ্টিতে ভিজতে চাইতে।।
জ্বরের ঘোরে যখন শুয়ে থাকতাম,
ভাবতাম এই বুঝি তুমি আসবে,
আমার পাশে বসবে।। তুমি আসো নি।।
আকাশে এখনো জোছনা হয়, তারা ভরা আকাশ
ও দেখা যায়, কেবল
শুনতে পাই না তমার
সেই লাজুক হাসির শব্দ।।
জানি ফিরে তুমি আসবে না কখনো...
লিখেছেনঃ MD Arshadul Haque
Sunday, August 4, 2019
মনটা খুব খারাপ
মনটা খুব বিষন্ন
আজ, মনের মধ্যে খুব
হাহাকার করছে।। কেন
জানি মনে হচ্ছে কি যেন
হারিয়ে যাচ্ছে জীবন
থেকে।। সেদিনের
ভালো লাগা গুলো আগের
মত স্পর্শ
করে না মনকে।।
মনটা আজ ভীষণ
একা।।
আকাশ টাকে আজ খুব
বিষন্ন লাগছে।। অনেক
খুজেঁও
একটা তারা পেলাম
না, চাদঁ তো দূরের কথা।।
অনেকদিন ধরে বৃষ্টির
ছোয়াঁ পাচ্ছি না।।
ভুলে গেছি কয়েকদিন
আগেও
বৃষ্টি নেমেছে, তবুও
মনে হচ্ছে অনন্তকাল
ধরে বৃষ্টি হয় নি।।
জীবনে চলার
পথে হারিয়েছি অনেক, যাদেরকে পেয়েছি তাদের
থেকে দূরে সরে গিয়েছি, একা পথ
চলবো বলে।। কিন্তু
যখন একা থাকি, খুব
ইচ্ছে হয় সবাই আমার
পাশে থাকুক, খুব
আজ, মনের মধ্যে খুব
হাহাকার করছে।। কেন
জানি মনে হচ্ছে কি যেন
হারিয়ে যাচ্ছে জীবন
থেকে।। সেদিনের
ভালো লাগা গুলো আগের
মত স্পর্শ
করে না মনকে।।
মনটা আজ ভীষণ
একা।।
আকাশ টাকে আজ খুব
বিষন্ন লাগছে।। অনেক
খুজেঁও
একটা তারা পেলাম
না, চাদঁ তো দূরের কথা।।
অনেকদিন ধরে বৃষ্টির
ছোয়াঁ পাচ্ছি না।।
ভুলে গেছি কয়েকদিন
আগেও
বৃষ্টি নেমেছে, তবুও
মনে হচ্ছে অনন্তকাল
ধরে বৃষ্টি হয় নি।।
জীবনে চলার
পথে হারিয়েছি অনেক, যাদেরকে পেয়েছি তাদের
থেকে দূরে সরে গিয়েছি, একা পথ
চলবো বলে।। কিন্তু
যখন একা থাকি, খুব
ইচ্ছে হয় সবাই আমার
পাশে থাকুক, খুব
কাছে থেকে ভালোবাসুক, যতটা আমি চেয়েছি তারথেকে অনেক বেশী।
Thursday, August 1, 2019
আজকে কাঁদতে ইচ্ছে করছে
ভীষণ কষ্ট হচ্ছে আজ অশান্ত হয়ে উঠেছে মন কাদতে ইচ্ছে হচ্ছে তবু কাদতে পারছি না চোখের জল আজ শুকিয়ে গেছে ভীষণ জোরে চিৎকার করে ডাকতে ইচ্ছা করছে তোমাকে কিন্তু আমি পারছি না পারছি না বলতে কতটা ভালবাসি তোমাকে আর একটু পরে হয়তো এই আমি থাকবো না কিন্তু মনে রেখো এই জীবনটা দিয়ে গেলাম তোমাকে আর দিয়ে গেলাম এক বুক ভরা ভালবাসা যা হয়তো অনেক বেশি মূল্যহীন তোমার কাছে কিন্তু আমার কাছে তা অমূল্য কারন আমি যে অনেক বেশি ভালবাসি তোমাকে শুধু তোমাকে..... লিখেছেনঃ এরশাদুল হক (একটি রংধনুর গল্প)
Wednesday, July 24, 2019
অবহেলা আর কষ্ট
অবহেলা আর কষ্ট
এলাকার যে ছেলেটি কখনো খারাপ কাজ বা নেশা করে নি,
আজকে সে এখন নাম কড়া নেশাখোর আর খারাপ কাজে লিপ্ত। যে ছেলেটি সিগারেটে থাকা নিকোটিনের ধোঁয়া সহ্য করতে পারতো না,
আজ সে সেই নিকোটিন তার চলার পথের সঙ্গী।
.
সে এখন প্রতি রাতেই ছাদের কোণে গিয়ে নিকোটিনের আগুনে নিজেকে পুড়তে বসে।
যে ছেলেটি কলেজ, কোচিং, কিংবা বন্ধুদের সাথে আড্ডা মেরে সবাইকে মাতিয়ে রাখতো, আজ সে একদম চুপ।
কারো সাথে কোনো কথা বলে না সব সময় একা থাকে।
.
যে ছেলে অন্ধকার কে এবং কালো জিনিস অপছন্দ করতো,
আজ সে শপিং এ গেলে সবথেকে আগে কালো রঙটাকে চয়েজ করে আর প্রায় সময়টাই অন্ধকারের মধ্যে থাকতে চায়।
এছাড়াও আরো অনেক ঘটনা আছে যা আমাদের চারপাশে ঘটে চলছে।
হয়তো কারোটা প্রকাশ পায় আবার কারো টা প্রকাশ পায় না।
.
সমাজের ছোট বড় প্রত্যেকেই ভাবে হয়তো খারাপ সঙ্গ পেয়েই ভালো খারাপ হয়েছে।
এভাবেই আমাদের সামনে ঘটে যাওয়া কর্মকাণ্ড গুলোর প্রতিক্রিয়া জানাই।
প্রতিক্রিয়া গুলো হয় সাধারনত এরকমঃ-
.
★ ছেলেটা ভালো ছিল, কিন্তু এখন রোজ সিগারেট খায়।
★ ছেলেটা একদম নষ্ট হয়ে গেছে, রোজ মারপিট আর নেশা করে।
★ এই ছেলে ছোট থেকে অনেক সম্মান করতো, কিন্তু এখন সামনে বসে সিগারেট ধরায়।
★ ছেলেটা খারাপ হবে কখনোই ভাবি নি।…. ইত্যাদি।
.
আমরা ভেবে থাকি এসব ছেলেগুলো এভাবে নষ্ট হওয়া আর বিগড়ে যাওয়ার
পিছনে খারাপ সঙ্গ একমাত্র দায়ী।
কিন্তু কখনো কি জানতে চেয়েছি বা চেয়েছেন তাদের এই খারাপ হওয়ার
পিছনের কারনটা। কিসের জন্য তারা এ পথে এসেছে…??
.
একটা ছেলে শুধু খারাপ সঙ্গ পেয়ে নেশার জগতে পা দেয় না।
এর পিছনে জড়িয়ে থাকে পারিবারিক সমস্যা না হয় কাছের মানুষের দেয়া কষ্ট আর অবহেলা।
আমাদের সমাজের প্রায় অর্ধেকের বেশি ছেলেরা নেশায় আসক্ত হয় প্রেম বিচ্ছেদে। আর অল্প কিছু ছেলেরা হয় পারিবারিক কারনে।
তখন এরা বেঁচে থাকার জন্য এবং পুরাতন স্মৃতি গুলো মুছে ফেলার জন্য নেশার জগতে পা দেয়।
.
আচ্ছা কতটা কষ্ট পেয়ে একটা ছেলে তার চোখের পানি ফেলে…!!
হ্যাঁ, আপনাকেই জিজ্ঞাস করছি যিনি বা যে এই গল্পটাকে পড়ছেন।
আমার জানা মতে, একটা ছেলেকে কখনো আপনি সামনে বসে তেমন একটা কান্না করতে দেখবেন না।
কারন সে জানে সবার সামনে বসে কান্না করতে দেখলে তাকে নিয়ে হাসি-ঠাট্টা, তামাশা করবে।
.
তাই সে নিরবে তার কষ্টটাকে বুকের মধ্যে লুকিয়ে রাখে। কারন ওখানে লুকিয়ে রাখলে কেউ দেখতে পাবে না, একমাত্র স্রষ্টা আর নিজে ছাড়া।
রাতে অন্ধকারে ঘরের কোনো এক কোণে বসে বা বিছানায় শুয়ে নিঃশব্দে দু’চোখের পানি ফেলে কেঁদে যাবে।
চিৎকার দিয়েও সে তখন কাঁদতে পারে না, যদি তার বাসার কেউ কান্নার শব্দ শুনে যায়।
.
বাসার যে ছেলেটি খুব হাসি খুঁশি থাকতো, প্রাইভেট বা আড্ডা দিয়ে সবাইকে
মাতিয়ে রাখতে পারতো। আজ হয়তো তার ভালোবাসার মানুষের কাছ থেকে অবহেলা পেতে পেতে সে দিনদিন এতো বদলে গেছে বা যাচ্ছে।
.
আগের মত আর কারো সাথে মিশে না, মন মরা আর সবসময় একা থাকতে চায়।
কারন, সে জানে বন্ধুদের সাথে চলতে হলে তাকে হাসি-খুঁশি থাকতে হবে।
যদিও ক্ষেত্রবিশেষ চলতে হয় তখন তাকে মিথ্যের আশ্রয় নিয়ে জীবন কাটাতে হয়।
.
যখন একটা ছেলের জীবনে কোনো মেয়ে আসে, তখন তাকে নিয়েই জীবনটাকে রঙ্গিন করতে চায়।
কিন্তু হঠাৎ করে সেই রঙ্গিন কে কালো করে দিয়ে অন্য ছেলের হাত ধরে চলে যায়, তখন শুধু অবাক হয়ে তাকিয়ে থাকতে হয়।
সে ভাবতে থাকে এই কি সেই মেয়ে যে কোনো একসময় আমায় নিয়ে ভালোবাসার স্বপ্ন বুনতো।
.
আপনি যদি একটা ছেলের একদম কাছের বা ভালোবাসার মানুষ হয়ে তাকে কষ্ট দিতে চান বা তাকে কাঁদাতে চান।
তাহলে তাকে কোনো ভরা জনসম্মুখে এনে চড় মারুন, তাকে বেশি করে গালাগালি করুন বা তাকে অপমান করুন।
দেখবেন নিরবে কোনো প্রতিবাদ না করে আপনার সামনে থেকে মাথা নিচু করে চলে যাবে তবুও কাঁদবে না।
.
কিন্তু তাকে সামান্য পরিমান অবহেলা করুন, তার সাথে একটু কথা বলা কমিয়ে দিন,
খোঁজ-খবর নেয়া কিছুদিনের জন্য বাদ দিয়ে দিন বা তার সাথে কম যোগাযোগ করুন।
তাহলে দেখবেন কিছুদিনের মধ্যে তার চোখের নিচটা কালো হয়ে গেছে আর আগের থেকে অনেকটা শুকিয়েও গেছে।
কারন সারারাত কেঁদে নির্ঘুমে কাটানো রাত আর ঠিকভাবে নিয়মিত না খাওয়ার ফলে এ অবস্থা তার।
.
ছেলেরা অনেক কিছু সহ্য করতে পারে, কিন্তু কাছের মানুষদের অবহেলা সহ্য করতে পারে না।
একটা ছেলের সাজানো জীবনকে এলোমেলো করে দিতে তার ভালোবাসার মানুষের অল্প অবহেলাই যথেষ্ট।
.
ছাদে বসে নীল আকাশকে দেখতে থাকা ছেলেটিও কোনো একসময় রাতের আধারে ছাদের কোনো এক কোণে বসে তারা গুনে,
আর নিজের বুকটাকে একের পর এক সিগারেটের ধোঁয়ায় পুড়তে থাকে।
.
বাড়ির ছেলের কোনো একসময় পছন্দ ছিলো নীল আর লাল।
কিন্তু এখন তার পছন্দের রঙ বদলে গিয়েছে। সে এখন আর নীল আর লাল রঙের কিছু পড়ে না।
কারন ওটা ছিল তার পুরনো ভালোবাসার মানুষেরও পছন্দ।
তাই আজ এসব বাদ দিয়ে তার একমাত্র পছন্দ রঙ হল কালো।
.
একটা ছেলে যে কখনো অন্ধকারে থাকতে পারতো না। সবসময় বন্ধুদের সাথে বাহিরে ঘোরাঘুরি করতো।
কিন্তু সময়ের পরিবর্তনে সে এখন অন্ধকারকে নিজের আপন করে নিয়েছে।
সে এখন দিনের বেশির ভাগ সময়টাও অন্ধকার রুমেই কাটিয়ে দেয়, তবুও বাহিরে বের হয় না।
.
একটা ছেলে কখনোই চায় না খারাপ হতে, কিন্তু আমাদের সমাজ, পরিবেশ আর পরিস্থিতি তাকে খারাপের দিকে টেনে নিয়ে যায়।
দশটা খারাপ ছেলের সাথে চলতে গিয়ে একটা ভালো ছেলেও কোনো একসময় খারাপ হয়ে যায়।
আর দশটা ভালো ছেলের সাথে একটা খারাপ ছেলে চললে একসময় নেশা করা ছেড়ে দিয়ে সে ভালো হয়ে যায়।
.
সবশেষে সেই সকল কাছের বা ভালোবাসার মানুষদের একটা কথাই বলবো যে, কোনো ছেলেকে ভালোবাসলে তাকে মন দিয়ে ভালোবাসবেন।
কোনো প্রকার ছলনা বা মিথ্যের আশ্রয় না নিয়ে ভালোবাসুন দেখবেন সে আগের থেকে আরো দ্রুত ভালো কিছু করার জন্য এগিয়ে যাবে।
.
আর তাকে যদি আপনি নাই ভালোবাসেন তাহলে দয়া করে তার সাজানো সুন্দর ভবিষ্যতটাকে নষ্ট করে দিবেন না।
কারন আপনার একটু একটু করে দেয়া অবহেলা আর কষ্ট একটা ছেলের স্বপ্ন গুলো মাটিতে মিশিয়ে দিতে পারে যে কোনো মুহূর্তে।
.
একটা ছেলে খারাপ হলে তার পরিবারের সদস্যরা বিশেষ করে মা আর বাবা বড্ড অসহায় হয়ে পড়ে।
তখন সমাজে তাদের মুখ দেখাতে কতটুকু কষ্ট পেতে হয় তা হয়তো আপনি অথবা আমি জানি না আর বুজতেও পারি না।
কোনো একসময় পরে যখন আপনি আর আমি কোনো সন্তানের মা বাবা হব তখন এর উপলব্ধি করতে পারবো।
এলাকার যে ছেলেটি কখনো খারাপ কাজ বা নেশা করে নি,
আজকে সে এখন নাম কড়া নেশাখোর আর খারাপ কাজে লিপ্ত। যে ছেলেটি সিগারেটে থাকা নিকোটিনের ধোঁয়া সহ্য করতে পারতো না,
আজ সে সেই নিকোটিন তার চলার পথের সঙ্গী।
.
সে এখন প্রতি রাতেই ছাদের কোণে গিয়ে নিকোটিনের আগুনে নিজেকে পুড়তে বসে।
যে ছেলেটি কলেজ, কোচিং, কিংবা বন্ধুদের সাথে আড্ডা মেরে সবাইকে মাতিয়ে রাখতো, আজ সে একদম চুপ।
কারো সাথে কোনো কথা বলে না সব সময় একা থাকে।
.
যে ছেলে অন্ধকার কে এবং কালো জিনিস অপছন্দ করতো,
আজ সে শপিং এ গেলে সবথেকে আগে কালো রঙটাকে চয়েজ করে আর প্রায় সময়টাই অন্ধকারের মধ্যে থাকতে চায়।
এছাড়াও আরো অনেক ঘটনা আছে যা আমাদের চারপাশে ঘটে চলছে।
হয়তো কারোটা প্রকাশ পায় আবার কারো টা প্রকাশ পায় না।
.
সমাজের ছোট বড় প্রত্যেকেই ভাবে হয়তো খারাপ সঙ্গ পেয়েই ভালো খারাপ হয়েছে।
এভাবেই আমাদের সামনে ঘটে যাওয়া কর্মকাণ্ড গুলোর প্রতিক্রিয়া জানাই।
প্রতিক্রিয়া গুলো হয় সাধারনত এরকমঃ-
.
★ ছেলেটা ভালো ছিল, কিন্তু এখন রোজ সিগারেট খায়।
★ ছেলেটা একদম নষ্ট হয়ে গেছে, রোজ মারপিট আর নেশা করে।
★ এই ছেলে ছোট থেকে অনেক সম্মান করতো, কিন্তু এখন সামনে বসে সিগারেট ধরায়।
★ ছেলেটা খারাপ হবে কখনোই ভাবি নি।…. ইত্যাদি।
.
আমরা ভেবে থাকি এসব ছেলেগুলো এভাবে নষ্ট হওয়া আর বিগড়ে যাওয়ার
পিছনে খারাপ সঙ্গ একমাত্র দায়ী।
কিন্তু কখনো কি জানতে চেয়েছি বা চেয়েছেন তাদের এই খারাপ হওয়ার
পিছনের কারনটা। কিসের জন্য তারা এ পথে এসেছে…??
.
একটা ছেলে শুধু খারাপ সঙ্গ পেয়ে নেশার জগতে পা দেয় না।
এর পিছনে জড়িয়ে থাকে পারিবারিক সমস্যা না হয় কাছের মানুষের দেয়া কষ্ট আর অবহেলা।
আমাদের সমাজের প্রায় অর্ধেকের বেশি ছেলেরা নেশায় আসক্ত হয় প্রেম বিচ্ছেদে। আর অল্প কিছু ছেলেরা হয় পারিবারিক কারনে।
তখন এরা বেঁচে থাকার জন্য এবং পুরাতন স্মৃতি গুলো মুছে ফেলার জন্য নেশার জগতে পা দেয়।
.
আচ্ছা কতটা কষ্ট পেয়ে একটা ছেলে তার চোখের পানি ফেলে…!!
হ্যাঁ, আপনাকেই জিজ্ঞাস করছি যিনি বা যে এই গল্পটাকে পড়ছেন।
আমার জানা মতে, একটা ছেলেকে কখনো আপনি সামনে বসে তেমন একটা কান্না করতে দেখবেন না।
কারন সে জানে সবার সামনে বসে কান্না করতে দেখলে তাকে নিয়ে হাসি-ঠাট্টা, তামাশা করবে।
.
তাই সে নিরবে তার কষ্টটাকে বুকের মধ্যে লুকিয়ে রাখে। কারন ওখানে লুকিয়ে রাখলে কেউ দেখতে পাবে না, একমাত্র স্রষ্টা আর নিজে ছাড়া।
রাতে অন্ধকারে ঘরের কোনো এক কোণে বসে বা বিছানায় শুয়ে নিঃশব্দে দু’চোখের পানি ফেলে কেঁদে যাবে।
চিৎকার দিয়েও সে তখন কাঁদতে পারে না, যদি তার বাসার কেউ কান্নার শব্দ শুনে যায়।
.
বাসার যে ছেলেটি খুব হাসি খুঁশি থাকতো, প্রাইভেট বা আড্ডা দিয়ে সবাইকে
মাতিয়ে রাখতে পারতো। আজ হয়তো তার ভালোবাসার মানুষের কাছ থেকে অবহেলা পেতে পেতে সে দিনদিন এতো বদলে গেছে বা যাচ্ছে।
.
আগের মত আর কারো সাথে মিশে না, মন মরা আর সবসময় একা থাকতে চায়।
কারন, সে জানে বন্ধুদের সাথে চলতে হলে তাকে হাসি-খুঁশি থাকতে হবে।
যদিও ক্ষেত্রবিশেষ চলতে হয় তখন তাকে মিথ্যের আশ্রয় নিয়ে জীবন কাটাতে হয়।
.
যখন একটা ছেলের জীবনে কোনো মেয়ে আসে, তখন তাকে নিয়েই জীবনটাকে রঙ্গিন করতে চায়।
কিন্তু হঠাৎ করে সেই রঙ্গিন কে কালো করে দিয়ে অন্য ছেলের হাত ধরে চলে যায়, তখন শুধু অবাক হয়ে তাকিয়ে থাকতে হয়।
সে ভাবতে থাকে এই কি সেই মেয়ে যে কোনো একসময় আমায় নিয়ে ভালোবাসার স্বপ্ন বুনতো।
.
আপনি যদি একটা ছেলের একদম কাছের বা ভালোবাসার মানুষ হয়ে তাকে কষ্ট দিতে চান বা তাকে কাঁদাতে চান।
তাহলে তাকে কোনো ভরা জনসম্মুখে এনে চড় মারুন, তাকে বেশি করে গালাগালি করুন বা তাকে অপমান করুন।
দেখবেন নিরবে কোনো প্রতিবাদ না করে আপনার সামনে থেকে মাথা নিচু করে চলে যাবে তবুও কাঁদবে না।
.
কিন্তু তাকে সামান্য পরিমান অবহেলা করুন, তার সাথে একটু কথা বলা কমিয়ে দিন,
খোঁজ-খবর নেয়া কিছুদিনের জন্য বাদ দিয়ে দিন বা তার সাথে কম যোগাযোগ করুন।
তাহলে দেখবেন কিছুদিনের মধ্যে তার চোখের নিচটা কালো হয়ে গেছে আর আগের থেকে অনেকটা শুকিয়েও গেছে।
কারন সারারাত কেঁদে নির্ঘুমে কাটানো রাত আর ঠিকভাবে নিয়মিত না খাওয়ার ফলে এ অবস্থা তার।
.
ছেলেরা অনেক কিছু সহ্য করতে পারে, কিন্তু কাছের মানুষদের অবহেলা সহ্য করতে পারে না।
একটা ছেলের সাজানো জীবনকে এলোমেলো করে দিতে তার ভালোবাসার মানুষের অল্প অবহেলাই যথেষ্ট।
.
ছাদে বসে নীল আকাশকে দেখতে থাকা ছেলেটিও কোনো একসময় রাতের আধারে ছাদের কোনো এক কোণে বসে তারা গুনে,
আর নিজের বুকটাকে একের পর এক সিগারেটের ধোঁয়ায় পুড়তে থাকে।
.
বাড়ির ছেলের কোনো একসময় পছন্দ ছিলো নীল আর লাল।
কিন্তু এখন তার পছন্দের রঙ বদলে গিয়েছে। সে এখন আর নীল আর লাল রঙের কিছু পড়ে না।
কারন ওটা ছিল তার পুরনো ভালোবাসার মানুষেরও পছন্দ।
তাই আজ এসব বাদ দিয়ে তার একমাত্র পছন্দ রঙ হল কালো।
.
একটা ছেলে যে কখনো অন্ধকারে থাকতে পারতো না। সবসময় বন্ধুদের সাথে বাহিরে ঘোরাঘুরি করতো।
কিন্তু সময়ের পরিবর্তনে সে এখন অন্ধকারকে নিজের আপন করে নিয়েছে।
সে এখন দিনের বেশির ভাগ সময়টাও অন্ধকার রুমেই কাটিয়ে দেয়, তবুও বাহিরে বের হয় না।
.
একটা ছেলে কখনোই চায় না খারাপ হতে, কিন্তু আমাদের সমাজ, পরিবেশ আর পরিস্থিতি তাকে খারাপের দিকে টেনে নিয়ে যায়।
দশটা খারাপ ছেলের সাথে চলতে গিয়ে একটা ভালো ছেলেও কোনো একসময় খারাপ হয়ে যায়।
আর দশটা ভালো ছেলের সাথে একটা খারাপ ছেলে চললে একসময় নেশা করা ছেড়ে দিয়ে সে ভালো হয়ে যায়।
.
সবশেষে সেই সকল কাছের বা ভালোবাসার মানুষদের একটা কথাই বলবো যে, কোনো ছেলেকে ভালোবাসলে তাকে মন দিয়ে ভালোবাসবেন।
কোনো প্রকার ছলনা বা মিথ্যের আশ্রয় না নিয়ে ভালোবাসুন দেখবেন সে আগের থেকে আরো দ্রুত ভালো কিছু করার জন্য এগিয়ে যাবে।
.
আর তাকে যদি আপনি নাই ভালোবাসেন তাহলে দয়া করে তার সাজানো সুন্দর ভবিষ্যতটাকে নষ্ট করে দিবেন না।
কারন আপনার একটু একটু করে দেয়া অবহেলা আর কষ্ট একটা ছেলের স্বপ্ন গুলো মাটিতে মিশিয়ে দিতে পারে যে কোনো মুহূর্তে।
.
একটা ছেলে খারাপ হলে তার পরিবারের সদস্যরা বিশেষ করে মা আর বাবা বড্ড অসহায় হয়ে পড়ে।
তখন সমাজে তাদের মুখ দেখাতে কতটুকু কষ্ট পেতে হয় তা হয়তো আপনি অথবা আমি জানি না আর বুজতেও পারি না।
কোনো একসময় পরে যখন আপনি আর আমি কোনো সন্তানের মা বাবা হব তখন এর উপলব্ধি করতে পারবো।


Monday, July 22, 2019
গল্প :একটি সুন্দর বিকিল।
গল্প :- একটি সুন্দর বিকেল।
কেনো? (রাইসা)
-এইতো আসছি গাড়িতে
চড়লাম,পাশে মা ছিলো তাই ফোন
ধরতে পারিনি(আকাশ)
-আচ্ছা তারাতারি আসো আমি
বসে আছি.
-আচ্ছা আসছি।
.
রাইসা আর আকাশ দুজন প্রেমিক
প্রেমিকা।
তাদের প্রেমের বয়স দুই বছরের মতন।
প্রথমে আকাশই রাইসাকে প্রপোজ
করেছিলো।
রাইসা সময় নিয়ে ভেবেচিন্তে
রাজী হয়েছিলো। তারপর থেকেই
শুরু হয় রাগ,হাঁসি কান্না সব খুনসুটি ও
ভালোবাসা।
এভাবেই পার হয়ে যায় দুটি বছর।
.
আসলেই মানুষ প্রেমে পড়লে বুঝতেই
পারে না কেমন করে সময় পার হয়ে
যাচ্ছে।
.
আজকে আকাশ রাইসার কাছে
থেকে একটি বিকেল চেয়েছিলো।
সেইজন্য রাইসাও না করেনি।
ভালোবাসার মানুষ বলে কথা।
.
রাইসা আগে থেকে চলে
এসেছে,কিন্তু আকাশের কোন নাম
গন্ধই নেই।
সেই কারনে রাইসা ব্যাঙ্গের মতন
ফুলে আছে।
আকাশ আসলেই সেটা ধুপ করে
ফাটাবে।
.
আকাশ ঘড়িতে সময় দেখে নিলো।
এখন পুরো ৪-১৭ মিনিট।
পার্কে ঢুকার আগেই দেখে নিলো
রাইসা হলুদ একটা সালোয়ার
কামিজ পরে বসে আছে।
দুর থেকে রাইসাকে দেখতে অপূর্ব
লাগছে।
.
আকাশ ভেবে চিন্তে একটি লাল
গোলাপ কিনলো।
রাইসার রাগ তো কমিয়ে ফেলতে
হবে।
কারন,
আসার কথা কখন আর আসছি কখন।
রাইসার কাছে গেলাম।
.
-রাগ করেছো (আকাশ)
-না রাগ করবো কেনো(রাইসা)
-আচ্ছা সরি,আর এমন হবে না,এইযে
কান ধরলাম।
-ছাড়ো ছাড়ো, আমার কান ধরেছো
কেনো।
-ওহ সরি।
-ভুল করে খালি সরি বলা, এখন
থেকে নো সরি,ভুল করলেই কান ধরে
উঠবস করতে হবে।
-আচ্ছা তুমি যা বলবে তাই করবো।
এখন চলো।
-কোথাই যাবো।
-ফুচকা খেতে যাবো।
-ও তাই নাকি! বিল কে দেবে তুমি?
-হ্যাঁ, কি মনে হয়।
-না এতোদিন তো আমিই দিতাম।
টাকা কই পেলে।
-মা দিয়েছে।
-সত্যি করে বলো আকাশ,টাকা কই
পেলে। তোমার চোখ বলছে তুমি
মিথ্যা বলছো।
-গতকাল কাজ করেছিলাম।
তাই টাকা পেয়েছি।
-কি কাজ।
-আমাদের বাড়ির পাশের বাড়ির
একজনের জমিতে।
-আমি কি তোমাকে বলেছি যে
এসব করতে।
-আরে চলোতো, একদিন না হয়
করেছি কাজ।
বলেই টানতে টানতে নিয়ে
গেলো ফুচকার দোঁকানে।
.
দুইজনে দুই প্লেট ফুচকা খেলো।
অন্যদিন এক প্লেট ভাগ করে খেতো।
আজকেও একপ্লেট ভাগ করে খাবে
বলছে রাইসা,কিন্তু আকাশের জন্য
আর হলোনা, সে দুই প্লেটের অর্ডার
দিয়েছে।
.
ফুচকা খেয়ে বিল মিটিয়ে দুজনে
নদীর পাড়ে হাঁটছে।
মনে হচ্ছে তারা জেনো এক অপরকে
হাঁজার বছর ধরে চিনে ।
.
-তুমি এতো ভালোবাসো আমাই
(রাইসা)
-হটাৎ এই প্রশ্ন। (আকাশ)
-তাহলে কাজে গিয়েছেলো
কেনো।
-এমনিতেই ডাকলো, সেইজন্য
গিয়েছিলাম।
-কিন্তু তোমার যে হাত অনেক
খানি কেঁটে গিয়েছে।
-তুমি কেমন করে জানলে।
-আমি জেনেছি ।
তুমি তো জানই আকাশ তোমার কিছু
হয়ে গেলে আমি বাঁচবো না।
(কেঁদে কেঁদে)
-আরে কাঁদছো কেনো,কান্না
থামাও।
-আগে বলো এখন থেকে নিজের
খেয়াল রাখবে।
-হ্যাঁ রাখবো এখন কান্নাটা বন্ধ
করো।
রাইসা কান্না থামালো।
রাইসার হাত ধরে দুজনে নদীর
পারে হেটে চলেছে, গন্তব্য জানা
নেই।
.
সূর্য টা লাল বর্ণ ধারন করেছে।
এসময় টা অনেক সুন্দর ও সুখের সময়।
হটাৎ করে আকাশ রাইসার হাত
ছেড়ে দিয়ে হাটু গেড়ে দিয়ে
বলছে,
-আমি তোমাকে ভালোবাসি
রাইসা,অনেক ভালোবাসি।
(হাতে একটি লাল গোলাপ)
-আরে বুদ্ধ আমিও তোমাকে অনেক
ভালোবাসি,এখন ওঠো।
-ফুলটা নেবে না।
-না ওটা আমার খোপাই পড়িয়ে
দাও।
আকাশ কথাটি শুনে অবাক হয়ে
গিয়েছে।
খোপাই কোনদিন গোলাপ
দিয়েছে কেউ এমন কাউকে সে
কখনো দেখেনি।
.
তবুও আকাশ রাইসাই চুলে গোলাপ
ফুলটি পড়িয়ে দিলো।
রাইসা আকাশের চোখের দিকে
তাকিয়ে আছে।
আকাশ ও তাকিয়ে আছে রাইসার
চোখের দিকে।
দুজনের চোখে একটিই স্বপ্ন একসাথে
বেঁচে থাকা, একসাথে মরে
যাওয়া।
.
আরো কিছুক্ষন দুজনে দুজনার হাত
ধরে ঘুরলো ।
এখন সময় চলে যাবার।
দুজনেই দুজনার চোখের দিকে
কিছুক্ষন তাকিয়ে বিদায় নিলো।
তবে অপেক্ষা করে রইলো আবার এমন
একটি বিকালের।
.
ভালোবাসার মানুষকে একটু সময়
দিয়ে দেখুন, কত আনন্দের সেই সময় টুকু
।
সেটা কখনো মনে পড়লেই আপনি
একা একা মুচকি হাঁসবেন
.
আসলেই সুখের সময় টা খুব অল্প।
অল্পতেই সুখ ফুরিয়ে যায়।
দুঃখের সময় অনেক দীর্ঘ, যেটা
কোথাই তুমি, আর ফোনটা ধরছো না
কেনো? (রাইসা)
-এইতো আসছি গাড়িতে
চড়লাম,পাশে মা ছিলো তাই ফোন
ধরতে পারিনি(আকাশ)
-আচ্ছা তারাতারি আসো আমি
বসে আছি.
-আচ্ছা আসছি।
.
রাইসা আর আকাশ দুজন প্রেমিক
প্রেমিকা।
তাদের প্রেমের বয়স দুই বছরের মতন।
প্রথমে আকাশই রাইসাকে প্রপোজ
করেছিলো।
রাইসা সময় নিয়ে ভেবেচিন্তে
রাজী হয়েছিলো। তারপর থেকেই
শুরু হয় রাগ,হাঁসি কান্না সব খুনসুটি ও
ভালোবাসা।
এভাবেই পার হয়ে যায় দুটি বছর।
.
আসলেই মানুষ প্রেমে পড়লে বুঝতেই
পারে না কেমন করে সময় পার হয়ে
যাচ্ছে।
.
আজকে আকাশ রাইসার কাছে
থেকে একটি বিকেল চেয়েছিলো।
সেইজন্য রাইসাও না করেনি।
ভালোবাসার মানুষ বলে কথা।
.
রাইসা আগে থেকে চলে
এসেছে,কিন্তু আকাশের কোন নাম
গন্ধই নেই।
সেই কারনে রাইসা ব্যাঙ্গের মতন
ফুলে আছে।
আকাশ আসলেই সেটা ধুপ করে
ফাটাবে।
.
আকাশ ঘড়িতে সময় দেখে নিলো।
এখন পুরো ৪-১৭ মিনিট।
পার্কে ঢুকার আগেই দেখে নিলো
রাইসা হলুদ একটা সালোয়ার
কামিজ পরে বসে আছে।
দুর থেকে রাইসাকে দেখতে অপূর্ব
লাগছে।
.
আকাশ ভেবে চিন্তে একটি লাল
গোলাপ কিনলো।
রাইসার রাগ তো কমিয়ে ফেলতে
হবে।
কারন,
আসার কথা কখন আর আসছি কখন।
রাইসার কাছে গেলাম।
.
-রাগ করেছো (আকাশ)
-না রাগ করবো কেনো(রাইসা)
-আচ্ছা সরি,আর এমন হবে না,এইযে
কান ধরলাম।
-ছাড়ো ছাড়ো, আমার কান ধরেছো
কেনো।
-ওহ সরি।
-ভুল করে খালি সরি বলা, এখন
থেকে নো সরি,ভুল করলেই কান ধরে
উঠবস করতে হবে।
-আচ্ছা তুমি যা বলবে তাই করবো।
এখন চলো।
-কোথাই যাবো।
-ফুচকা খেতে যাবো।
-ও তাই নাকি! বিল কে দেবে তুমি?
-হ্যাঁ, কি মনে হয়।
-না এতোদিন তো আমিই দিতাম।
টাকা কই পেলে।
-মা দিয়েছে।
-সত্যি করে বলো আকাশ,টাকা কই
পেলে। তোমার চোখ বলছে তুমি
মিথ্যা বলছো।
-গতকাল কাজ করেছিলাম।
তাই টাকা পেয়েছি।
-কি কাজ।
-আমাদের বাড়ির পাশের বাড়ির
একজনের জমিতে।
-আমি কি তোমাকে বলেছি যে
এসব করতে।
-আরে চলোতো, একদিন না হয়
করেছি কাজ।
বলেই টানতে টানতে নিয়ে
গেলো ফুচকার দোঁকানে।
.
দুইজনে দুই প্লেট ফুচকা খেলো।
অন্যদিন এক প্লেট ভাগ করে খেতো।
আজকেও একপ্লেট ভাগ করে খাবে
বলছে রাইসা,কিন্তু আকাশের জন্য
আর হলোনা, সে দুই প্লেটের অর্ডার
দিয়েছে।
.
ফুচকা খেয়ে বিল মিটিয়ে দুজনে
নদীর পাড়ে হাঁটছে।
মনে হচ্ছে তারা জেনো এক অপরকে
হাঁজার বছর ধরে চিনে ।
.
-তুমি এতো ভালোবাসো আমাই
(রাইসা)
-হটাৎ এই প্রশ্ন। (আকাশ)
-তাহলে কাজে গিয়েছেলো
কেনো।
-এমনিতেই ডাকলো, সেইজন্য
গিয়েছিলাম।
-কিন্তু তোমার যে হাত অনেক
খানি কেঁটে গিয়েছে।
-তুমি কেমন করে জানলে।
-আমি জেনেছি ।
তুমি তো জানই আকাশ তোমার কিছু
হয়ে গেলে আমি বাঁচবো না।
(কেঁদে কেঁদে)
-আরে কাঁদছো কেনো,কান্না
থামাও।
-আগে বলো এখন থেকে নিজের
খেয়াল রাখবে।
-হ্যাঁ রাখবো এখন কান্নাটা বন্ধ
করো।
রাইসা কান্না থামালো।
রাইসার হাত ধরে দুজনে নদীর
পারে হেটে চলেছে, গন্তব্য জানা
নেই।
.
সূর্য টা লাল বর্ণ ধারন করেছে।
এসময় টা অনেক সুন্দর ও সুখের সময়।
হটাৎ করে আকাশ রাইসার হাত
ছেড়ে দিয়ে হাটু গেড়ে দিয়ে
বলছে,
-আমি তোমাকে ভালোবাসি
রাইসা,অনেক ভালোবাসি।
(হাতে একটি লাল গোলাপ)
-আরে বুদ্ধ আমিও তোমাকে অনেক
ভালোবাসি,এখন ওঠো।
-ফুলটা নেবে না।
-না ওটা আমার খোপাই পড়িয়ে
দাও।
আকাশ কথাটি শুনে অবাক হয়ে
গিয়েছে।
খোপাই কোনদিন গোলাপ
দিয়েছে কেউ এমন কাউকে সে
কখনো দেখেনি।
.
তবুও আকাশ রাইসাই চুলে গোলাপ
ফুলটি পড়িয়ে দিলো।
রাইসা আকাশের চোখের দিকে
তাকিয়ে আছে।
আকাশ ও তাকিয়ে আছে রাইসার
চোখের দিকে।
দুজনের চোখে একটিই স্বপ্ন একসাথে
বেঁচে থাকা, একসাথে মরে
যাওয়া।
.
আরো কিছুক্ষন দুজনে দুজনার হাত
ধরে ঘুরলো ।
এখন সময় চলে যাবার।
দুজনেই দুজনার চোখের দিকে
কিছুক্ষন তাকিয়ে বিদায় নিলো।
তবে অপেক্ষা করে রইলো আবার এমন
একটি বিকালের।
.
ভালোবাসার মানুষকে একটু সময়
দিয়ে দেখুন, কত আনন্দের সেই সময় টুকু
।
সেটা কখনো মনে পড়লেই আপনি
একা একা মুচকি হাঁসবেন
.
আসলেই সুখের সময় টা খুব অল্প।
অল্পতেই সুখ ফুরিয়ে যায়।
দুঃখের সময় অনেক দীর্ঘ, যেটা
সহজে শেষ হয় না
পৃথিবীর সব মেয়েগুলো কিন্তু এক নয়...প্রতিটা
মেয়ের মধ্যেই..... আমরা অন্য একজনের ছায়াখুঁজে পাই,তাই তাদের আমরা কখনো মায়াবতী
কখনো রুপবতী কখনো লজ্জ্বাবতী বলে থাকি..
--
সব মেয়েকেই আপনি... দামী শাড়ি কিংবা দামি
ডায়মন্ডের নেকলেস দিয়ে খুশী করতে পারবেন
না। পৃথিবীতে এখনো এমন অনেক মেয়ে আছে
যারা শুধু ভালোবাসার মায়ায় বছরের পর বছর
এক ছাদের নীচে.... জোড়া তালি দেওয়া কাপড়
পড়েও সুখে আছে.....
--
এসব মেয়েরা দামী শাড়ি গহনা চায় না,কিন্তু তার
চেয়েও দামী একটা জিনিষ চায়।সেটা হল গভীর
ভালোবাসা, যার সাথে শাড়ি গহনার কোন তুলনা
হয় না... স্বামীর প্রয়োজনে তাদের গলার মালাটা
খুলে নিলেও মনে কষ্ট পায় না.... 'কিন্তু অকারণে
আপনার বলা, সেই একটি কঠোর কথায় তাদের
পায়ের নীচের মাটিটা টলে ওঠে.......
--
হ্যা....হয়তো আপনাদের কাছে এসব কিছুই না।
আর অনুভূতি-প্রবণ মানুষরা খালি কলসি ও না,
যে বেশী বেজে বেজে বলবে আমার তো অনেক
দুঃখ আছে.... এদের দুঃখরা সন্ধ্যা তারার সাথে
কথা বলে, এদের চোখের পানি শুধু এদের ছায়া
আর সৃষ্টিকর্তাই দেখে......
--
বোকা মেয়েরা ভালোবাসাটা নিয়ে মাথায় ঘামায়
না।এই জন্যই হুমায়ন আহমেদ লেখেছেন বোকা
মেয়েরাই নাকি সুখী হয়..মাথার উপরে ছাদ, মাস
শেষে চাইনিজে খাওয়া......'ভালো কাপড় পড়তে
পেরে পাড়া পড়শিদের কাছে, গল্প করতে পেরেই
অনেকে সন্তুষ্ট চিত্তে দিন যাপন করে..স্বামীরদের
অনুভূতি নিয়ে বোকারা মাথা ঘামায় না....'কিংবা
ভ্রুকুটি..অবহেলা নিয়ে চিন্তা করার সময় তাদের
নেই! সিরিয়ালের ফাঁকে ফাঁকে। স্বামী কই গেলো,
কোথায় ঘুমালো...কার দিকে তাকাল এসব নিয়ে
কেয়ার করার ফুরসত তাদের কই....!!!
--
আর অনুভূতি-প্রবণ নারী মাত্রই..স্বামীর ব্যাপারে
ঈর্ষাপ্রবণ,অন্য কোন নারীর সাথে ভাগ না করতে
চাইলে যদি হিংসুক বলেন.....এই হিংসাটা করার
অধিকার কী তার নেই?তার তো নিজের স্বামীকে
অন্যের সাথে ভাগ করে নেওয়ার কথা না। এটাও
ভালোবাসার একটা প্রকাশ.....
--
আর যে নারী.. নিজের স্বামীকে ভাগ করে নিতে
পারবে.....সে নিজেও যে নিজেকে অন্যের সাথে
ভাগ করে দিতে পারে, সেটা বুঝতে কী খুব বেশী
বুদ্ধির দরকার আছে।যে ছাড় দেয় সে ছাড় নেয়
--
অনুভূতি-প্রবণ মেয়েগুলোরই যতো সমস্যা!শাড়ি
গহনা না দিলেও কষ্ট নেই..কিন্তু আপনার একটা
স্বার্থপরতার আচরণ নিমিষেই..এই মেয়েগুলোর
দুনিয়া অন্ধকার করে দেয়!খুব কষ্ট পায়........
--
অনেক ভালোবাসা আর শ্রদ্ধা রইলো 'এই সকল
অনুভূতি প্রবন মেয়েগুলোর জন্য..দেখনু হয়তো
আপনার ঘরের মায়াবতী "মা...রুপবতী আদুরে
বোনটা আর আপনার লজ্জ্ববতী বউটা-ও....খুব
অনুভূতিপ্রবন.. তাদের একটু বুঝতে চেষ্টা করুন
প্লিজ!তাহলে তাদের আর কোন দুঃখ থাকবে না
Subscribe to:
Posts (Atom)